রফিকের সাথে ঘুমের কখনই কোনো শত্রুতা কিংবা বৈরিতা ছিল না। বরং ঘুম তার পোষা দাস। সে চাইলেই দিনের পর দিন ঘুমিয়ে কাটাতে পারে। কিংবা মাসের পর মাস নির্ঘুম কাটাতে পারে। তাতে তার কোনো সমস্যা হয় না। রফিক- পুরো নাম রফিকুল ইসলাম সুমন। তরুণ গল্পকার। এখন তার ঘুমের মওসুম চলছে। দিনের পর দিন বিরক্তিহীন ঘুম। সে বন্ধের দিন হোক আর খোলার দিন। ছকবদ্ধ হয়ে ঘুম আসে না বরং ঘুমের ছকে জীবন চলে। সে বেশ বেলা করেই বিছানা ছাড়ে। সেদিনও সে বেশ আয়েস করে ঘুমুচ্ছিল। হঠাৎ বেরসিক সেলফোন বেজে উঠে। সে ঘুমের মাঝে দেখে কি দেখে না। ঘুম জড়ানো কণ্ঠে ফোন রিসিভ করে- হ্যালো। জবাবে ওপাশ থেকে ঝাঁঝালো কণ্ঠ শুনতে পায়- আমারে মাইনকা চিপায় ফেলে খুউব ঘুম হচ্ছে না? উঠে তাড়াতাড়ি অফিসে আয়। কণ্ঠের ঝাঁঝে রফিকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে জিজ্ঞেস করে- কে বলছেন? -আবার কে বলছি না? তাড়াতাড়ি অফিসে আয়। বলতে না বলতেই ফোনটা কেটে যায়। রফিক এবার বুঝতে পারে এটা জাহিদ ভাইয়ের কণ্ঠ। জাহিদ ভাই- পুরো নাম জাহিদ আলী। স্থানীয় একটি পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক। তার হাত ধরেই রফিকুল ইসলাম সুমন এখন গল্পকার রফিক সুমন। কিন্তু নিরীহ জাহিদ ভাইয়ের এমন ঝাঁঝালো কণ্ঠের মর্ম বোঝে না। তাই সে একটু ধাতস্থ হয়ে কলব্যাক করে। কিন্তু ওপাশে ফোন রিসিভ করেই আবার ঝাঁঝালো কণ্ঠে- আবার ফোন কেন? জলদি আয়। রফিককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই জাহিদ ভাই ফোন কেটে দেন। রফিক বুঝতে পারে জাহিদ ভাই বড় কোনো সমস্যায় পড়েছেন। তাই তার মাথা ঠিক নেই। সে ভাবতে চেষ্টা করে জাহিদ ভাইয়ের মতো নিরীহ লোক কী কী ধরণের সমস্যায় পড়তে পারেন। কিন্তু কিছুই তার মাথায় আসে না। সে কিছুক্ষণ বিছানায় বসে থাকে। তারপর রেডি হওয়ার জন্য বিছানা ছাড়ে। ফ্রেশরুম থেকে বের হতে না হতেই দেখে জাহিদ ভাই বেশ কয়েকবার কল করেছেন। সে ব্যাক করতে যাবে তখনই আবার জাহিদ ভাইয়ের কল- রফিক কতদূর আসলা? -বস্ রেডি হচ্ছি। -মিয়া তুমি তো দেখছি আমার চাকুরী খাইয়া ফেলবা। এত রেডি হওয়ার কী আছে? পাত্রী দেখতে যাবা নাকি? তাড়াতাড়ি আসো। এতক্ষণে রফিক জাহিদ আলীর উদ্বেগের কারণ বুঝতে পারে। নিশ্চয়ই জাহিদ ভাইয়ের চাকুরী নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে। তাই সে তাড়াতাড়ি রেডি হয়। এদিকে তাড়াহুড়া করে জিন্স টিশার্ট পড়ে কেডস পায়ে দেওয়ার পর তার মনে পড়ে যে ভেতরে আন্ডারওয়্যার পড়া হয়নি। সে আবার চেঞ্জ করার কথা ভাবে। এদিকে ফোনটা একটানা বেজেই চলছে। ধরে দেখে জাহিদ ভাইয়ের ফোন। ধরতেই ওপাশ থেকে-রফিক তুই কতদূর? -বস্ আসতেছি। এত অস্থির হইয়েন না। -আরে অস্থির- আমি পুরা মারা যাইতেছি। আর কতক্ষণ? -বস্ আসতেছি। তাড়াহুড়ার চোটে আন্ডারওয়্যার পড়তে ভুলে গেছি। -আন্ডারওয়্যার! তোর আবার আন্ডারওয়্যার লাগে কেন? তাড়াতাড়ি আয়। রফিক অবস্থার গুরুত্ব বুঝে সেই অবস্থায়ই দৌঁড় দেয়। সকালের নাস্তা পর্যন্ত করা হয়নি। ভাবে জাহিদ ভাইয়ের অফিসে গিয়ে তাকে শান্ত করে গরম গরম সিঙ্গারা আর চা খাবে। কিন্তু কোথায় কী? অফিসে ঢুকেই দেখে জাহিদ ভাই ফোনে কার সাথে যেন কাঁচুমাচু ভঙ্গিতে কথা বলছেন। ফোন রেখেই তিনি রফিকের দিকে তাকিয়ে একেবারে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন- বিশিষ্ট গল্পকার অবশেষে আসলেন? রফিক চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলে- বস কী হইছে? খুইলা কন। জাহিদ আলী আবারও চেঁচিয়ে উঠেন- যেইটা সামলাইতে পারবা না সেইটা তোমারে লিখতে কইছে কে? আমি কইছি? তোমারে লেখক বানাইছি সেই দোষ কি এখন আমার? শেষ পর্যন্ত আমার চার হাজার টাকার চাকুরী নিয়া টানাটানি শুরু করছো। এইটা গেলে আমি বউ পোলাপান লইয়া যামু কই? জাহিদ আলীর কথাগুলো রফিকের কাছে খুব বেশি শিশুতোষ মনে হয়। সে আবার জিজ্ঞেস করে- বস্ কী হইছে? খুইলা কন। - তোরে গালকাটা শামছুরে লইয়া গল্প লিখতে কইছে কে? - কোন গালকাটা শামছু? -আরে গত সপ্তায় যেই গল্পটা ছাপলাম। -বস্ গালকাটা শামছুতো একটা ক্যারেক্টার। তার আবার সমস্যা কী? -আজকালকার পোলাপান সব ইঁচড়েপাকা। আরে দুইলাইন লেইখাই নিজেরে বড় লেখক মনে করো? না জাইনা না শুইনা তোমাগো লিখতে কয় কে? আরে গালকাটা শামছু হইলো তিন নম্বর ওয়ার্ডের ত্রাস। কমিশনারের ডাইন হাত। -বস্ আমি তো তারে নিয়া লিখি নাই। -আরে কপালতো আমার খারাপ। সেইটা তারে কে বুঝাইবো। আরও গিয়া পড়ছে তার গার্লফ্রেন্ডের হাতে। তার নাকি ইজ্জত পুরা পাংচার। এখন সে তোমার আমার ইজ্জতের ওপর হাত দিবে। -বস্ এইসব কী কন? -কী কই? সকাল থেকে কী আর সাধে তোমারে এতবার ফোন দিই? তুমি তো এমন বিখ্যাত কেউ না আর কোনো রাজপুত্তুরও না যে তোমারে দেখার জন্য আমার মন উথলাইয়া উঠছে। সকাল থেকে সে আমারে বসতে দিচ্ছে না। তার গার্লফ্রেন্ড নাকি তোর গল্প পইড়া কইছে-তার চরিত্র এবং চেহারা দুইটাই বদলাইতে অইবো। মানুষ তার স্বামীরে নিয়া ব্যঙ্গ করবে এইটা সে বিয়ার পরে সইতে পারবে না। এখন শামছুর কথা হচ্ছে চরিত্রতো আর চাইলেই বদলানো যাবে না। কিন্তু প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারাতো বদলানো যাবে। আর সেই প্লাস্টিক সার্জারি করার পয়সা তোমাকে দিতে হবে। এবং আজকের মধ্যেই দিতে হবে। -কী কন বস্! -হুম আর কই কী? সকাল থেকে কন্টিনিউয়াস ফোন দিচ্ছে আর শাসাচ্ছে। টাকা তুমি না দিলে আমারে দিতে হবে। আর নইলে সম্পাদক সাহেবকে বলে দিবে। আমার চার হাজার টাকার চাকুরী চইলা গেলে বউ পোলাপান লইয়া কই যামু। -বস্ অহন আমি টাকা পামু কই? সারা মাস টিউশনি কইরা যা পাই তা তো থাকা খাওয়াতেই চইলা যায়। বাকিটা আপনার এইখানে আসা যাওয়ার রিকশা ভাড়ায় চইলা যায়। আর আপনার এইখানে লিইখাতো কোনো সম্মানীও পাই না যে হাতে টাকা থাকবে। -এইসব কথা শোনার সময় নাই। -বস্ বিপদের সময় ছোট ভাইকে দেখবেন না? - দেখতে দেখতেই তো ঘাড়ে বিপদ টেনে আনছি। এখন সামলাও। টাকা না দিলে তোরে তাগো হাতে তুলে দেবো। বলবো নিয়ে যা খুশি তাই করেন। রফিক বুঝতে পারে না যে এরপর সে কী বলবে। সে মাথা নিচু করে ভাবতে থাকে। হঠাৎই আবার ফোন বেজে উঠে। সে উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে ফোনের দিকে তাকায়। আর জাহিদ আলী আতঙ্ক নিয়ে ফোন রিসিভ করে। ফোন রিসিভ করার পর তার চেহারা আরও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যায়। সে পাঁচ মিনিটের সময় চেয়ে নেয়। তারপর ফোনটি রেখেই রফিকের দিকে তাকায়। রফিক তখন আবার বলে- বস্ এক কাজ করলে হয় না? -কী? -আমরা দু’জন গিয়ে ওর হাতে পায়ে ধরে মাফ চাইলে হয় না? - সেটা কি সে মানবে? -বস্ এছাড়া তো আমাদের আর কোনো উপায় নেই। -ঠিক আছে। দেখি সে মানে কি না। জাহিদ আলী কথা শেষ করতে না করতেই ফোন বেজে উঠে। তার চেহারা দেখে ভালোই বুঝা যায় যে তিনি প্রচণ্ড তোপের মুখে আছেন। অনেক কাকুতি মিনতি করেও রক্ষা নেই। অবশেষে গালকাটা শামছু তার পূর্ণ ঠিকানা দিয়ে বেলা বারোটার ভেতরে দেখা করার হুকুম দিয়ে ফোন রাখে। ফোন রেখে জাহিদ আলী অসহায়ের মতো রফিকের দিকে তাকায়। রফিক তার অবস্থা বুঝতে চেষ্টা করে। জাহিদ আলী অস্ফুট ¯^রে বলে- এখন কী করবো? -বস্ আরতো কোনো রাস্তা নেই। বলেই সে ঘড়ির দিকে তাকায়। দেখে এগারোটা বাজে। সে বলে- বস্ আর দেরি করা ঠিক হবে না। ঘটনা আবার অন্যদিকে মোড় নিতে পারে। কিছুক্ষণ ভাবার পরে অবশেষে জাহিদ আলী চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। তারা নিজের থেকেই বাঘের খাঁচায় ধরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। জাহিদ আলী দোয়া দরুদ পড়ে দু’জনার বুকে ফুঁ দিয়ে রিকশায় উঠে। অজানা আতঙ্ক দু’জনার চোখেমুখে খেলা করে। এদিকে শহরের অলিগলি ঘুরে তাদের রিকশাটা অবশেষে একটি আধাকমপিট বহুতল ভবনের সামনে এসে দাঁড়ায়। তাদের রিকশা ভবনের সামনে আসতেই বর্ণনামতো ষণ্ডামার্কা দু’জন তাদের সামনে এসে হাজির হয়। তারা যেন হঠাৎ দেয়াল ফুঁড়ে বের হয়েছে। তাদের কিছুই বলতে হয় না। তারা রফিক আর জাহিদ আলীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়। কয়েকতলা সিঁড়ি বেয়ে উঠার পরে তারা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে। অর্থাৎ গালকাটা শামছুর আস্তানায়। বাইরে থেকে বুঝার উপায় নেই যে এমন ভাঙ্গা ভবনের ভেতরে এমন একটা প্রাসাদ আছে। প্রাসাদের ভেতরে ঢুকতেই তারা গালকাটা শামছুর মুখোমুখি। তাকে দেখেতো রফিক সুমন থ’। এ যে হুবহু তার গল্পের থেকে তুলে আনা চেহারা। গালের কাটা দাগটা তার গল্পের বর্ণনা মতো জায়গায়ই আছে। এক ইঞ্চি উপরেও না-এক ইঞ্চি নিচেও না। ব্যাপারটা দেখে তার হাসি পায়। কিন্তু মুহূর্তেই সে হাসি হজম করে ফেলে। এদিকে তাদেরকে খালি হাতে দেখে শামছুর রাগ চরম অবস্থায়। সে রাগে গর্জন করে উঠে- কিরে বাপ আমি কি তোগো সুইট চেহারা দেখার জন্য ডাকছি। পাত্তির ব্যাগ কই? জাহিদ আলী অসহায় চোখে রফিকের দিকে তাকায়। রফিক কিছু বুঝে উঠার আগেই দৌঁড়ে গিয়ে গালকাটা শামছুর পায়ের ওপর পড়ে- বস্ আমারে মাফ কইরা দেন। ভুল হইয়া গেছে। আপনারে ছুঁইয়া কইতেছি জীবনের জন্য গল্প লেখা ছাইরা দিমু। -আরে এত এক মহাঝামেলা। পা ছাড়। পাত্তি বাইর কর। -বস্ আমারে বেঁচলেও আপনার প্লাস্টিক সার্জারি করার পয়সা উঠবো না। বস্ আমারে মাফ কইরা দেন। বিনিময়ে আমি আপনার গোলাম খাটবো। বলেই রফিক আরও জোরে গালকাটা শামছুর পা জড়িয়ে ধরে। অনেক চেষ্টা করেও গালকাটা শামছু তার পা ছাড়াতে পারে না। অবশেষে তার দু’জন চ্যালা এসে রফিককে টেনে তুলে দাঁড় করায়। শামছু গা ঝেড়ে বসে জিজ্ঞেস করে- তুইই তাহলে এগুলা করছোস্? -জ্বী বস্ আমিই করছি। জাহিদ ভাই নিষ্পাপ। কিন্তু বস্ আমিতো আপনারে নিয়া লিখি নাই। -কিন্তু আমার প্রেস্টিজের যে বারোটা বাজছে সেইটার কী হবে? -বস্ আপনার গার্লফ্রেন্ডের কাছে নিয়া চলেন। আমি তার কাছে যাইয়া কমু যে গল্পের শামছু আর আপনি এক না। -চুপ। খালি কথা কয়। এই ছাগলরে নিয়া এখন কী করি? তখন শামছুর চ্যালাদের একজন বলে উঠে- ওস্তাদ তার গালে ক্ষুরের একটা পোঁচ লাগাইয়া দিই। তাইলে সে আপনার বেদনা বুঝবে। এ কথা শুনে জাহিদ আলী আর রফিক এ ওর চোখে চোখ রাখে আর গালকাটা শামছু হাততালি দিয়ে উঠে- ভালো আইডিয়া তো। ঐ গল্পকার তোর গার্লফ্রেন্ড আছে? -বস্ নিজেই চলতে পারি না আবার গার্লফ্রেন্ড চালামু কেমনে? -তাইলে লাভ নাই। প্রেস্টিজের মর্ম বুঝবো না। এক কাম কর-এরে আন্ডারওয়্যার পড়াইয়া পুরা পাড়া ঘুরাইয়া নিয়া আয়। ময়নাগো বাড়ির সামনে দিয়াও ঘুরাইয়া আনবি। এ কথা শুনে সবাই একযোগে হাততালি দেয়। এদিকে তখন রফিকের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া। দু’তিনজন অতিউৎসাহী চ্যালা কাজে নেমে পড়ে। রফিক বাঁধা দিতে চেষ্টা করে। তারা তাকে চড় থাপ্পড় মেরে নিরস্ত করে কর্ম সমাধা করতে তৎপর হয়। এদিকে হঠাৎই জাহিদ আলীর মনে পড়ে রফিক সুমন আজ আন্ডারওয়্যার ছাড়াই বেরিয়েছে। সে আর কিছু ভাবতে পারে না সেখানেই মাথা ঘুরে পড়ে যায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
একজন তরুণ গল্পকারকে এভাবে হ্যাস্ত ন্যাস্ত করে তবেই ছাড়লেন ???..............খুব মজা পেয়েছি মাহরুফ ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ................
প্রজ্ঞা মৌসুমী
না, শেষে আমিও আর কিছু ভাবতে পারছি না। শুরু থেকেই পড়তে মজা লাগছিল। বেশ নাটকীয়; তবে বাস্তবতাও খারাপ লাগছিল- যেমন চার হাজার টাকা দিয়ে সংসার চালানো। সরস লেখনীর জোরে সব ভোট নিয়ে নিলেন :) শুভ কামনা
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।